টানা বর্ষণে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ধস

খাগড়াছড়িতে টানা বর্ষণে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২০ জুন) সকালে সদরের কলাবাগান এলাকায় বৃষ্টির সময় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

কলাবাগান এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টানা বর্ষণে ঢলের সঙ্গে পাহাড়ধসে বাড়িঘরের ওপর চাপা পড়ে। এ সময় কয়েকটি বাড়ির দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড়ধসের পরপরই আশপাশের বাড়ির লোকজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা।

এদিকে, জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খুললেও সেখানে যাননি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারী মানুষজন। এর আগে পাহাড়ধসের শঙ্কার কথা জানিয়ে নিরাপদে যেতে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলা শহর ও দীঘিনালার মাইনি নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মেরুং ইউনিয়নের চিটাগাংপাড়াসহ অন্তত ৫০টি বসতঘরে পানি ঢুকেছে। 

দিঘীনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, ‘টানা বর্ষণে নদীর পানি বেড়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেইসঙ্গে পাহাড়ধসের শঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছি আমরা। কিন্তু এখনও তারা যাননি।’

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘জেলার যেসব নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে, সেসব এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ শুরু হয়েছে।’