ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

টোল প্লাজা ও বাজারগুলোতে যানবাহনের ধীরগতি, থেমে থেমে যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বেড়ে যায় গাড়ির চাপ। এখন পর্যন্ত এ মহাসড়কের প্রত্যেক বাজার ও টোল প্লাজায় যানজট লাগতে দেখা গেছে। যদিও এই জট দীর্ঘ নয়, আবার বেশিক্ষণ স্থায়ীও নয়। যাত্রী সাধারণ, বাস চালক ও হাইওয়ে পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসব যানজটের মূল কারণ প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও কাভার্ডভ্যান।

শুক্রবার (৮ জুলাই) মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের বিভিন্ন বাজার ও টোল প্লাজায় খবর নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাহন হলো প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও কাভার্ডভ্যান। কোনও কোনও প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের ভিতরে যাত্রী নেই। কোনোটিতে একজন যাত্রী। এছাড়াও প্রাইভেটকারগুলো রুলস না মেনে চলাচল করছে। যে কারণে যানজট সৃষ্টি হয়।IMG20220708161647

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের দাউদকান্দি টোল প্লাজায় ধীর গতির কারণে মূলত ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বড় ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা থেকে কুমিল্লামুখী লেনে টোল প্লাজায় প্রবেশের আগে দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয় সকল যানবাহনকে। এরপর ইলিয়টগঞ্জ বাজার, গৌরীপুর বাজার, মাধাইয়া, শহীদ নগর, চান্দিনা বাজার, বুড়িচং অংশের নিমসার বাজার, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বাজার ও পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ইউটার্নের জট পার হতে সময় লেগে যায় বেশি।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল হক জানিয়েছেন, মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়ায় যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। তবে কোথাও তীব্র যানজটের খবর পাইনি। বাজারগুলোতে সামান্য যানজট রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যানবাহনগুলোর চলাচল স্বাভাবিক রাখতে। তবে অতিরিক্ত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মালবাহী কাভার্ডভ্যানের কারণে যাত্রীবাহী বাসগুলো আটকে যায়। সৃষ্টি হয় যানজটের। তাছাড়া বাস চালকরা সুযোগ পেলেই গাড়ি থামিয়ে দেন এবং যাত্রী উঠানামা করেন। সে কারণে আমরা শুধু বাজারগুলোতে নয় যেসব স্থানে যাত্রী ওঠানামার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব স্থানে নজর রাখছি। এবারের ঈদযাত্রা সবার জন্য স্বস্তির হবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।IMG20220708161742