সি অ্যাকুরিয়ামে দেখা মিলবে সাগরতলের ২০০ প্রজাতির মাছ  

কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ বেসরকারিভাবে স্থাপিত দেশের প্রথম ও বিশ্বমানের সি অ্যাকুরিয়াম। এখানে বর্তমানে সাগরতলের দুইশ’ প্রজাতির মাছ ও জীব রয়েছে। এছাড়া সাগরের বিলুপ্ত মাছ ও বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণে একটি জাদুঘরও করা হচ্ছে এখানে। এই অ্যাকুরিয়াম ঘুরে দেখে মিলবে সাগর তলের জীবন সম্পর্কে বাস্তব ধারণা। 

ঈদ উপলক্ষে এই অ্যাকুরিয়ামে পাঁচ দিনের জন্য বিশেষ ছাড় পাবেন পর্যটকরা। কর্তৃপক্ষ বলছে সাধারন পর্যটকদের জন্য এখানে প্রবেশ ফি’র ওপর ১০ শতাংশ ও শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ ছাড় চলছে। এছাড়া সাড়ে তিন ফুটের নিচের উচ্চতার শিশুদের জন্য প্রবেশ ফ্রি করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রবিবার (১০ জুলাই) থেকে আগামী পাঁচ দিন এই ছাড় চলবে।

কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সি অ্যাকুরিয়ামে বর্তমানে সাগরতলের দুইশ’ প্রজাতির মাছ ও জীব রয়েছে। এখানে সমুদ্রের গভীর তলদেশ, নানা প্রাণীর বসবাস বিষয়ে ধারণা মিলবে। বিরল প্রজাতির মাছসহ এখানে আছে হাঙর, পিরানহা, শাপলাপাতা, পানপাতা, কাছিম, কাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈল, পিতম্বরী, সাগর কুঁচিয়া, বোয়াল, জেলিফিস, চেওয়া, পাঙ্গাস, আউসসহ আরও অনেক মাছ এবং জলজ প্রাণী। এছাড়া অ্যাকুরিয়ামে নতুন অতিথি এসেছে ৭০ কেজি ওজনের ক্যাট ফিস, ৬০ কেজি ওজনের কাছিম ও ৬৫ কেজি ওজনের হাঙর মাছসহ গভীর সাগরের দুষ্প্রাপ্য কিছু মাছ।

তিনি আরও বলেন, এখানে সাগরের বিলুপ্ত মাছ ও বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণে একটি জাদুঘর করা হচ্ছে। এটা শুধু বিনোদনের জন্য নয়, এটি সাগরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণী সম্পর্কে জানার একটি শিক্ষাকেন্দ্র। পর্যটন শিল্প বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে সি অ্যাকুরিয়ামকে কেন্দ্র করে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড সেন্টারকে একাধিক জোনে গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে থ্রি-নাইনডি মুভি দেখার নান্দনিক স্পেস, দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির পাখি, ছবি তোলার জন্য ডিজিটাল কালার ল্যাব, শপিং স্পেস, লাইভ ফিশ রেস্টুরেন্ট, ইবাদতের জায়গা, শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা, বিয়ে বা পার্টির জন্য কনফারেন্স হল ও ছাদে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগের পাশাপাশি রয়েছে বার-বি কিউর ব্যবস্থা। এছাড়া রয়েছে সুপরিসর পার্কিং ও লাগেজ রাখার লকার। অ্যাকুরিয়ামে প্রবেশ ফি ৩০০ টাকা।