চামড়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

চট্টগ্রামে প্রতি পিস চামড়া বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা। দাম কম হওয়ায় চামড়া বিক্রি নিয়ে আগ্রহ কম কোরবানিদাতাদের। তাই অনেকে চামড়া বিক্রি না করে এতিমখানায় দান করে দিয়েছেন। এদিকে ন্যায্য দাম না পেয়ে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।

জানা গেছে, দাম বেশি পাওয়ার আশায় কোনও কোনও মৌসুমি ব্যবসায়ী কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায়ও চামড়া কিনেছেন। তবে আড়তদাররা চামড়া কিনেছে ২০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।

এদিকে ঢাকার মধ্যে সরকার নির্ধারিত প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৭ টাকা থেকে ৫২ টাকা। ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম নির্ধারিত ছিল ৪০ টাকা থেকে ৪৪ টাকা। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরুর সবচেয়ে ছোট চামড়াটিও হয় অন্তত ১২ বর্গফুট। আর বড় চামড়াগুলো হয় ২৮ বর্গফুট পর্যন্ত। অথচ চট্টগ্রামে লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া কেনা হয়েছে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা করে। তবে এখানে বর্গফুট হিসাবে নয়, গড়ে ২০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত কিনেছে আড়তদাররা।

রফিক উদ্দিন নামে রাউজান উপজেলার এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘একটি চামড়া কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কেনা হয়। ১৫০টি চামড়া সংগ্রহ করে নগরীর আঁতুড়ার ডিপো কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে নিয়ে যাই। আড়তদাররা কিনেছে আড়াইশ’ টাকা করে। এতে অনেক টাকা লোকসানে পড়তে হয়। এসব চামড়া শহরের আড়তদারদের কাছে নিয়ে যেতে একটি পিকআপ ভ্যান ভাড়া করতে হয় সাড়ে তিন হাজার টাকায়।’

মো. মুসা নামে এক কোরবানিদাতা বলেন, ‘আমার কোরবানি গরুর চামড়াটি কেনার জন্য কেউ আসেনি। শেষ পর্যন্ত এটি গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হয়। এভাবে চট্টগ্রামে বেশকিছু চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি  মুসলিম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ চামড়া আড়তদারদের কাছে এসেছে। অনেক চামড়া স্থানীয়ভাবে লবণজাত করে সংরক্ষণ করে থাকে। এসব চামড়া কিছুদিন পর আড়তে কিংবা ট্যানারিতে যাবে।’