বেশি দামে চামড়া কিনে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

বেশি দামে চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক জানান, চামড়ার দাম নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সরকার আগেই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে।

মৌসুমি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, তারা অনেকেই পাড়া-মহল্লা থেকে বড় ও মাঝারি গরু-মহিষের চামড়া ছয়শ’ থেকে আটশ’ টাকা দরে কিনেছে। তবে বাজারে আসার পর পাইকাররা চারশ’ পাঁচশ’ টাকা দাম বলছেন। এতে লোকসানের মুখে পড়বেন তারা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌসুমি ব্যবসায়ী অপু ঋষি বলেন, তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লাসহ গ্রাম-অঞ্চল থেকে পাঁচশ’ থেকে সাতশ’ টাকা দরে গরু-মহিষের চামড়া কিনেছেন। রিকশা ভাড়া, শ্রমিকসহ তাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তবে বাজার দর একেবারে কম। প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম পাচ্ছেন না তারা।

আরেক ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, ‘সরকার কি দর দিয়েছে আমরা জানি না। আমরা এলাকা থেকে পিস হিসেবে চামড়া কিনেছি। লাভ তো দূরের কথা, এখন পাইকাররা আমাদের কেনা দামও বলছেন না।’

চামড়া কিনতে আসা পাইকার খোকন মিয়া বলেন, ‘জেলা শহরে চামড়া ফুট হিসেবে বেচাকেনা হয় না। আমরা পিস হিসেবে কিনছি। ট্যানারিরা আমাদের আগের টাকা এখনও দেয়নি। তবু আশা করে চামড়া কিনছি।’

তপন ঋষি নামে আরেক পাইকার জানান, চামড়া কিনছি প্রতি পিস ৪৫০ টাকা করে। এছাড়া শ্রমিক খরচ ও লবণ খরচ আছে। এভাবে যদি চামড়া কিনি তাহলে আমাদের উপায় থাকবে না। ট্যানারি ব্যবসায়ীরা আমাদের বেশি দাম দেয় না।

এদিকে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, সরকার আগেই চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেন ন্যায্যমূল্য পান এ বিষয়ে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করার আহ্বান জানান তিনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়া ৪০ টাকা থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা।