দুই কনটেইনার মদে ২০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা 

চট্টগ্রাম বন্দরে আটক দুই কনটেইনার মদের চালানে ২০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) রাত ১২টার দিকে আটক দুই মদের চালানে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে কাস্টমস কর্মকর্তারা এ ঘোষণা দিয়েছেন। 

এতে বলা হয়, মিথ্যা ঘোষণায় আনা আটক মদের চালান দু’টিতে ২ হাজার ৮৫৮টি কার্টনে মোট ৩১ হাজার ৪৯২ দশমিক ৫ লিটার মদ পাওয়া যায়। যার আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। মদের পাশাপাশি একটি কনটেইনারে ৫৩টি বস্তায় ৫৩ হাজার প্যাকেটে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার শলাকা আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়। চালান দুটিতে মিথ্যা ঘোষণায় ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চালান দুটি মিথ্যা ঘোষণায় মদ আনার বিষয়টি নিশ্চিত হন কাস্টমস কর্মকর্তারা। 

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর) মো. সাইফুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলে, আটক মদের চালান দুটির আমদানিকারকদের মধ্যে একটি বাগেরহাট জেলার মোংলা ইপিজেডস্থ ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি চায়না থেকে সুতা আমদানির ঘোষণা দিয়ে মাদক আমদানি করেছে। 

একইভাবে নীলফামারী জেলার উত্তরা ইপিজেডস্থ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড। চায়না থেকে কাঁচামাল আমদানি করার ঘোষণা দিয়ে মদ এনেছে। 

এর আগে রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে আটক মদ ভর্তি একটি কনটেইনারে ১২ কোটি টাকা এবং শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের করা নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক দুই কনটেইনার মদ ভর্তি কনটেইনারে ২৫ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা হয়েছিল।