ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট থেকে গৌরীপুর পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। সকাল ৯টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় যাত্রীরা ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত যানজট তীব্র ছিল। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। তবে কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকার পর কয়েক কিলোমিটার ফাঁকা থাকলেও মুন্সীগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ এলাকার সোনারগাঁও পর্যন্ত যানজটে গতি আসেনি সড়কে।
কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী বাসের যাত্রী সবুজ ছোটন বলেন, সকাল ৯টায় কুমিল্লা থেকে রওনা হয়ে বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার আছি। এখনও ঢাকায় পৌঁছাতে পারিনি। দাউদকান্দি টোল প্লাজার পর সামান্য কয়েক কিলোমিটার ফাঁকা ছিল। এখনও যানজটে আছি। জানি না কখন ঢাকা পৌঁছাবো।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। এছাড়া চান্দিনা ও ইলিয়টগঞ্জ পার হয়ে এই ধীরগতি চলাচল দাউদকান্দির গৌরীপুর পর্যন্ত অব্যাহত আছে। তবে টোল প্লাজা এলাকার পর কয়েক কিলোমিটার ফাঁকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসচালক ও যাত্রীরা।
চট্টগ্রামগামী ট্রাকচালক খায়ের মিয়া বলেন, ‘রোডে এখন জটলা নাই, তবে গাড়ির চাপ অনেক। তাই ধীরগতিতে চলতে হইতেছে। এতে চট্টগ্রাম যাইতে অনেক সময় লাগতেছে।’
যানজটের বিষয়ে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন বলেন, এখন যানজট নেই। ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। আশাকরি দুই-এক ঘণ্টার মধ্যে ক্লিয়ার হবে। আমরা সড়কেই আছি।
তবে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রেমধন মজুমদার বলেন, যানজট নেই। তবে বৃহস্পতিবারে সড়কে গাড়ির ভালো চাপ আছে। দ্রুত ক্লিয়ার করার জন্য আমরা কাজ করছি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ভোর রাতে মাধাইয়া এলাকার নুড়িতলা এলাকায় একটি লরি রাস্তায় পড়ে যায়। এতে দুই লেনের গাড়ি এক লেনে চলাচল শুরু করে। দুর্ঘটনার কারণে সকাল হতেই সড়কে যানজট দেখা দেয়। দুপুরের দিকে যানজট কমলেও এর প্রভাব রয়ে গেছে।