জঙ্গল সলিমপুরে অভিযান, ৭০০ একর সরকারি জমি উদ্ধার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগর এলাকায় ১৭৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৭০০ একর পাহাড়ি জমি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এবং পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকের  উপস্থিতিতে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

উদ্ধারকৃত জায়গায় প্রস্তাবিত বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা অফিস, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, স্পোর্টস ভিলেজ, সাফারি ও ইকোপার্ক, র‍্যাব ও পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পের সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‌‘সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে তিন হাজার ১০০ একর সরকারি খাস জমি আছে। এসব খাস জমি কেটে একদল ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী অবৈধ বসতি স্থাপন করেছে। এখানে আর কোনও অবৈধ স্থাপনা করতে দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরকে ঘিরে সরকার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যেটুকু পাহাড় কাটা হয়েছে সেটুকুতেই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বাকি পাহাড়ের পরিবেশ-প্রতিবেশ অক্ষুণ্ন রাখা হবে।’ 

পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘সলিমপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসী ইয়াসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে। পাহাড় কেটে যারা অভয়ারণ্য গড়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মফিদুল আলম বলেন, ‘সলিমপুরে ২০২০ সালে অভিযান পরিচালনা করে ১৫০টি এবং ২০২২ সালে অভিযান পরিচালনা করে ৩৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। সলিমপুরে পাহাড় কাটার কারণে চারটি মামলা করা হয়েছে। পাহাড় কাটা বন্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে।’

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম, নেজারট ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু-এ মং মারমা এবং তানভীর চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) আশরাফুল করিম ও সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।