ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ: আহত আরও একজনের মৃত্যু

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে হায়াতুল ইসলাম আয়াত (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আয়াত হাটহাজারী থানার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দখিয়া গ্রামের আবদুল শুক্কুরের ছেলে। সে এস নজুমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আয়াতের চাচা ফরুক আহমেদ জানান, সে চার দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

আরও পড়ুন: ছুটির দিনে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন নিহত ১১ জন

চট্টগ্রাম মেডিক্যালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মীরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে আহত আয়াতকে আড়াইটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহত অন্যদের মধ্যে ইমনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি পাঁচজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা হলেন- তানভীর হাসন হৃদয়, নাহিদুল আলম সৈকত ও মাহাবুব হাসান মাহিন তৌকির ইবনে শাওন।  

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন শুক্রবার সকাল ৮টায় হাটহাজারীর আমান বাজার থেকে মাইক্রোবাসে খৈয়াছড়া ঝর্ণায় ঘুরতে যান। ফেরার পথে দুপুর পৌনে ২টার দিকে বারতাকিয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস লাইনে উঠে পড়লে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। আহত হন আরও পাঁচ জন। তাদের মধ্যে আজ আরও একজনের মৃত্যু হলো।