ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার জয়ধর কান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন হক মিয়া (৩৯), ফুল মিয়া (৩০), জমিলা (৩০), মিন্টু মিয়া (২৬), জুরু মিয়া (২৬), দুলাল (৩০), জামেলা (৫০), মাইনুল (২০), আলমগীর (২০), জজ মিয়া (৫০), আঙ্গুর মিয়া (২০), সোহরাব (৫৫), রিমা (২৫), মনির (৩২), জুয়েল (৪০), রাজিউর রহমান (৫৫), সূচনা (৩৯) ও আবুল সালাম (৪৫)। তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ পাঠানোর পর পাওনা টাকা নিয়ে জয়ধরকান্দি গ্রামের মাফুজমিয়া ও ছোয়াব মিয়ার মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাতাহাতি হয়। বিষয়টি মীমাংসার করার জন্য আজ সকালে গ্রামে সালিশ বৈঠকে বসে উভয়পক্ষ। বৈঠকের একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জয়ধরকান্দি পূর্বপাড়া গ্রামের দুই পক্ষের লোকজন। সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। লোটপাট ও ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। পরে আহতদের মধ্যে ২০ জনকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

হাসপাতালের চিকিৎসক সাইদুর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অন্তত ২০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের শরীরে ইট-পাথরের ঢিলের মতো ক্ষত রয়েছে। তবে কারও অবস্থা গুরুতর না।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পরে জড়িতদের আটকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের সামনে চেকপোস্ট বসায়। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণ করেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন। 

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আনিসুর রহমান, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় সাত জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে ওসির অসদাচরণের বিষয়ে অবহিত করলে এসপি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’