কুতুবদিয়া চ্যানেলে ৯টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি

বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ৯টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাত ১১টা থেকে শনিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত আনোয়ারার গহিরা থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। 

এসব ট্রলার থেকে অন্তত এক কোটি টাকার ইলিশ মাছ লুট হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এ সময় ট্রলারে থাকা একাধিক জেলেকে মারধর করা হয়।  

চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ওরফে বাবুল সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ৯টি ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে ট্রলারের লোকজনকে জিম্মি করে এসব ট্রলার থেকে এক কোটি টাকার ইলিশ মাছ এবং ডিজেল লুট করে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় সবকটি ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট করে দিয়ে যায় তারা। পরে অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় সাতটি ট্রলার দুপুরে তীরে আসে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ডাকাতির কবলে পড়া দুটি ফিশিং ট্রলার তীরে আসতে পারেনি।

ফিশিং বোট মালিক সমিতি সূত্র জানায়, ডাকাতির শিকার ৯টি ফিশিং ট্রলারের মধ্যে সাতটির তথ্য সংগ্রহ করেছেন সমিতির নেতারা। এগুলো হলো- আবুল কালামের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলার এফবি রহমান, কবির আহমেদের মালিকানাধীন এফবি কবির, কাসেম মাঝির মালিকানাধীন এফবি ইয়াসমিন, সেলিম মাঝির মালিকানাধীন এফবি সাইফুল ইসলাম, হারিছ মাঝির মালিকানাধীন এফবি মা-বাবা, জাহাঙ্গীর মেম্বারের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ও মতিন চৌধুরীর মালিকানাধীন এফবি মা-বাবা।     

চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে ফিশারিঘাট এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে বোট মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ৯টি ফিশিং বোটে ডাকাতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এসব ঘটনা ঘটেছে আনোয়ারার গহিরা থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল এলাকায়।’