ভারতে যাতায়াত সহজে সেপ্টেম্বরে চালু হচ্ছে আরেকটি স্থলবন্দর

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। সোমবার (২৯ আগস্ট) এই স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা জানান। 

মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘উদ্বোধনের পর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে। তখন দুই দেশের নাগরিকরা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।’

সূত্রমতে, স্থলবন্দরের স্থায়ী কাঠামো তৈরি নিয়ে জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় অস্থায়ী অবকাঠামোয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জটিলতা নিরসন হলে বন্দর দিয়ে পণ্যবাহী গাড়িসহ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে। মূলত ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের আগে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করায় প্রথমে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করছে বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে এই বন্দর দিয়েই। একইসঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সারওয়ার আলম বলেন, ‘ইমিগ্রেশন সেন্টার নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রাথমিকভাবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হবে। সীমান্ত জটিলতায় নিরসন হলে বন্দর অবকাঠামো নির্মাণকাজও শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে রামগড় স্থলবন্দর নিয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে।’