গোলাগুলি কমেছে মিয়ানমারে, তুমব্রু সীমান্তে ফিরেছে স্বস্তি

বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমার অভ্যন্তরে গোলাগুলি বন্ধ হয়েছে। সেখান থেকে বর্তমানে গুলির শব্দ না আসায় স্বস্তি ফিরেছে বান্দরবানের ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের মাঝে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কোনও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, সোমবার থেকে কোনও গেলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ২-৩টা গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। গেলাগুলির শব্দ কমে যাওয়ায় অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছে স্থানীয়রা।

তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা মো. জানে আলম জানান, গত সোমবার থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় ৩-৪টি ভারী গোলার শব্দ শোনা গেছে। বুধবার বিকাল পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। এতে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন স্থানীয়রা।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই মিঠুন সিংহ জানান, মঙ্গলবার রাতে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কয়েকটি ফায়ারের শব্দ শোনা গেলেও আজ বুধবার এখন পর্যন্ত গোলাগুলির সংবাদ পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর মধ্যেও তেমন আতঙ্ক নেই এখন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি বুলেট এসে পড়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তার আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে।