সোনা ব্যবসায়ীকে হত্যার ১০ দিন পর রহস্য উন্মোচন

চট্টগ্রামের পটিয়ায় সোনা ব্যবসায়ী বিমান ধরকে (৪৩) নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। কারা, কেন তাকে হত্যা করেছে তাও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই বিষয়ে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফিং করা হবে। পাশাপাশি এই ঘটনায় গ্রেফতার দুজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে। তারা হলেন- পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের লড়িহরা গ্রামের জিল্লুর রহমান (২৬) ও ধলঘাট ইউনিয়নের বণিকপাড়া বাপ্পু ধর (২৮)। গ্রেফতার দুজনকে দুপুরে পটিয়া জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদেরকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নিহত বিমান ধরের নগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তারপুল এলাকায় সৌদিয়া গোল্ড ফ্যাশন নামে একটি সোনার দোকান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) জেলা শাখার নেতারা হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। এর মধ্যে বাজুস নেতারা সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হয়।

পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমান ধরকে হত্যার রহস্য আমরা উন্মোচন করতে পেরেছি। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস ব্রিফিং করে তা তুলে ধরা হবে। এটি ছিল একটি ক্লু-বিহীন হত্যাকাণ্ড। যার কারণে আসামি গ্রেফতারে আমাদের বেগ পেতে হয়েছিল। তবে আমরা প্রযুক্তিসহ নানা কিছুর সহযোগিতা নিয়ে জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।’

গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১১টায় উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের লড়িহারা এলাকায় নৃশংসভাবে গলা কেটে বিমান ধরকে (৪৩) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের দক্ষিণ গৈড়লা বণিকপাড়া এলাকার দুলাল ধরের ছেলে। চট্টগ্রাম নগরে থাকা সোনার দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে পটিয়ার নিজ বাড়িতে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। হত্যার ঘটনায় তার ছোট ভাই রিমান ধর বাদী হয়ে পটিয়া থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।