অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ১

নোয়াখালীতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা ও হাতের রগ কেটে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘরের জিনিসপত্র তছনছ করে মূল্যবান স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত স্কুলছাত্রী (১৪) জেলার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ওই শিক্ষার্থীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের মা একটি স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি প্রতিদিনের মতো সকালে স্কুলে গিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় বাসায় ফিরেন। এ সময় দেখতে পান বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগানো। পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা প্রতিদিনের মতো দরজা বন্ধ থাকায় কিছু অনুমান করতে পারেনি।

ভিকটিমের মা দরজা খুলে মেয়ের রুম বন্ধ পাওয়ায় তাকে খুঁজতে শুরু করে। এক পর্যায়ে বাসার পেছনের দিকে জানালা দিয়ে মেয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত শরীর নগ্ন অবস্থায় বিছানার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে দরজা ভেঙ্গে ওই কক্ষে প্রবেশ করেন তিনি।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিবেশী মো. সাঈদ (২০) প্রায় সময় ভিকটিমকে উত্ত্যক্ত করতো। বিভিন্ন সময়ে হুমকিও দিয়েছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে ভিকটিমের মা বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি দেখে প্রতীয়মান হয় যে, হত্যাকারী একা বা দলবলসহ পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সুকৌশলে ওঁৎ পেতে ছিল। ভিকটিমকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের পর খুন করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

বর্বরোচিত এই খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় যৌথভাবে কাজ করছে থানা পুলিশ, ডিবি, পিবিআই ও সিআইডি। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে মূল সন্দেহভাজন মো. সাঈদকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তদন্তসহ আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।