কক্সবাজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৬ ভবন

কটেজ জোনে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ছয়টি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কটেজ জোনে এ অভিযান চালানো হয়।

কক্সবাজার কটেজ জোনে ১৯৯৬ সালে সাত দশমিক পাঁচ একর জমি সৈকত সমবায় সমিতির নামে বরাদ্দ দেয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ১৯৯৭ সালে সাত দশমিক পাঁচ একরের পরিবর্তে পাঁচ একর বরাদ্দ দিয়ে সংশোধিত বরাদ্দপত্র জারি করে মন্ত্রণালয়। সৈকত সমবায় সমিতি সংশোধিত বরাদ্দপত্র মেনে নেয়। পরে সৈকত সমবায় সমিতি বাকি জমির জন্য হাইকোর্টে রিট করে। পরবর্তীতে তারা রিভিউ পিটিশন করলে ২০১৯ সালে খারিজ করা হয়। ফলে ওই জায়গার ওপর সৈকত সমবায় সমিতির অধিকার না থাকায় উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেন আদালত।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এ সময় জেলা পুলিশ, আনসার এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উচ্ছেদ অভিযানে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীত পাশে গণপূর্তের সৈকত সমবায় সমিতির প্লটসমূহে অনুমোদনহীন চারটি দোতলা ভবন এবং দুটি একতলা ভবন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘পরিকল্পিত পর্যটন নগরী বাস্তবায়ন আমাদের সবার দায়িত্ব। তাই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করে এবং অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণের জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাই। কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে অবৈধ এবং অনুমোদনহীন স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।