মোস্তাফা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৭ পরিচালককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঋণখেলাপির অভিযোগে করা মামলায় মোস্তাফা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ছয় পরিচালককে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের জজ (যুগ্ম জেলা জজ) মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। ১৭ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এই সাত জন হলেন- মোস্তফা গ্রুপের চেয়ারম্যান হেফাজুতুর রহমান এবং ছয় জন পরিচালক হলেন- কফিল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, রফিক উদ্দিন, শফিক উদ্দিন, জসীম উদ্দিন ও জহির উদ্দিন। তারা এম এম শিপ ব্রেকার্স লিমিটেড ও রহমান শিপ ব্রেকার্স লিমিটেডের নামে ইস্টার্ন ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করেনি। ব্যাংক তাদের কাছে ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৬ টাকা পাবে। ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মামলাটি চলমান রয়েছে। অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদালত সূত্র জানায়, এ মামলায় দাবি করা ঋণের টাকা ব্যাংক তৃতীয়বারের মতো সুদ মাফ করে পুনঃতফসিল করে। বিবাদীরা পুনঃতফসিল মোতাবেক কোনও টাকা পরিশোধ করেনি। ঋণের বিপরীতে সম্পত্তি জামানত থাকলেও অর্থঋণ আইনের ১২(৩) ধারা মোতাবেক সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংক কোনও টাকা আদায় করতে পারেনি।

এই মামলা করার পর ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিআরপিডি সার্কুলার-৫ এবং ২০২২ সালে বিআরপিডি সার্কুলার-১৬ জারি করা হলেও তারা সহজ শর্তে সুদ মাফ পূর্বক ঋণ পরিশোধের সুযোগ গ্রহণ করেননি। তাদের বিরুদ্ধে এই আদালতে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১০টি মামলা বিচারাধীন আছে। এসব মামলায় ব্যাংকগুলো দাবি করা টাকার পরিমাণ ৫০০ কোটির কম নয়।