স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় হামলায় হকার নিহতের অভিযোগ

কুমিল্লায় স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কিলঘুসিতে জসিম উদ্দীন (৪৫) নামের পত্রিকার এক হকার নিহতের অভিযোগ উঠেছে। এই মৃত্যুকে হত্যা বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী। জেলার নাঙ্গলকোট পৌরসভার কেন্দ্রা গ্রামের আবুল কালাম সওদাগরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে নাঙ্গলকোট পৌরসভার কেন্দ্রা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত জসিম কেন্দ্রা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। অভিযুক্ত আবুল কালাম সওদাগর একই গ্রামের বাসিন্দা। 

জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে কালাম সওদাগর ওই হকার জসিমের বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে টর্চলাইট মারলে তার ঘুম ভাঙে। এসময় জসিম কালাম সওদাগরকে ধরতে চেষ্টা করলে দৌড়ে পালিয়ে যান। আজ বিকালে কালাম সওদাগর স্থানীয় একটি দোকানের মানুষের সামনেই জসিমকে মারধর করে। একপর্যায়ে জসিম দৌড়ে পালাতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। সেখানে তাকে ধরে আবারও মারধর করলে গুরুতর আহত হন।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ, কালাম তাকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওই রাতেও সে একই কারণে এসেছে। একপর্যায়ে তাকে টাকাও দিতে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রাজি না হয়ে তার স্বামীকে জানান। এর কারণে জসিম অভিযুক্ত কালামকে প্রশ্ন করে। এরপরই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এই ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল হোসেন সোহাগ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, উত্ত্যক্তের কোনও অভিযোগ জসিমের পরিবার থেকে পাইনি। তার স্ত্রীও কখনও অভিযোগ দেননি। তবে আজ বিকালে কোন একটি বিষয় নিয়ে কালাম সওদাগর তাকে থাপ্পড় দিয়েছে। এরপরই সে মারা গেছে। আমরাও হাসপাতালে গিয়েছি।

নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেব দাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তখন জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক কামরুল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার হাঁটুতে আঘাত ছিল। পরে পুলিশ এসে লাশ তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তদন্তের পর সব খোলাসা করে বলা যাবে।