বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা না পেয়ে বড় ভাইকে হত্যা করে মোস্তাফিজুর: পুলিশ

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় প্রবাসী সাজ্জাদ হোসেনকে (২৪) গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তার ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফরিদুল আলমের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে বিকালে তাকে আদালতের মাধমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

গত শনিবার মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের কালাপানি (সেমুতাং গ্যাসফিল্ড) এলাকায়  নিজ ঘরে সাজ্জাদ হোসেনের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। ওই এলাকার মাসুদ রানা ও শিউলী আক্তার দম্পতির ছেলে তিনি। বেশ কয়েক বছর কাতারে ছিলেন। প্রায় দেড় মাস আগে বাড়ি ফেরেন। লাশ উদ্ধারের পর তার ছোট ভাই মোস্তাফিজুরসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশ

আরও পড়ুন: কান্না থামছে না সাজ্জাদের মায়ের

মোস্তাফিজুরের স্বীকারোক্তির বরাতে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বড়ভাই সাজ্জাদের কাছে টাকা চায়। তাকে টাকা দেননি সাজ্জাদ। বিষয়টি তার ভালো লাগেনি। এ কারণে মোবাইল ফোনে রিচার্জ করার নাম করে বাইরে গিয়ে হাতুড়ি নিয়ে আসে মোস্তাফিজুর। এরপর সাজ্জাদের মাথার পেছনে আঘাত করে। মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে দা দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর আলম জানান, মোবাইল ট্র্যাকিং করে মোস্তাফিজ, আবু বকর ও ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাফিজুর স্বীকার করে, সে তার ভাইকে হত্যা করেছে। সাজ্জাদের মামা শরিফ হোসেন বাদী হয়ে মানিকছড়ি থানায় মামলা করলে আজ বিকালে মোস্তাফিজুরকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।