কেনাকাটা করতে গিয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ গেলো দুই খালাতো ভাইয়ের

ঢাকার সিদ্দিকবাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে নর্থসাউথ রোডের সাততলা পৌর ভবনে বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন চাঁদপুরের দুই খালাতো ভাই।

তারা হলেন- আল আমিন (২১) ও তার খালাতো ভাই মানছুর আহমেদ (৪০)। এর মধ্যে আল আমিন মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের পশ্চিম লালপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে ও ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলোজি অ্যান্ড সাইন্সের (ইউআইটিএস) দ্বিতীয় ছাত্র। আর তার খালাতো ভাই মানছুর আহমেদ একই উপজেলার ছেঙ্গারচরের মোশারফ মিয়াজীর ছেলে। তিনি ফুলবাড়িয়া মার্কেটে ব্যবসা করতেন।

ছেলের মৃত্যুর খবর সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আল-আমিনের মা। দুই পরিবারেই চলছে আহাজারি।

আল আমিনের ভাই আব্দুল আহাদ বলেন, ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটের বেজমেন্টে আমার খালাদের মশারির দোকান আছে। ওখানে ভাইয়াও গিয়েছিলেন। তারা দুজন একসঙ্গে ওই মার্কেটে গেছেন। তাদের দুজনেরই মৃত্যুর খবর পেয়েছি।

এদিকে, আল আমিনের ফুফা খোরশেদ আলম বলেন, মানছুর ঢাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিল। সেটির জন্য স্যানিটারি জিনিসপত্র কেনার জন্য তার খালাতো ভাই আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্দিকবাজার গিয়েছিল। সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। রাত ১১টার পর তাদের লাশ বুঝে পেয়েছি। এখন অ্যাম্বুলেন্সে করে দুজনের লাশ নিয়ে মতলব উত্তরের গ্রামের বাড়ি নেওয়া হচ্ছে। সেখানে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফেরদৌস আলম বলেন, আল আমিনের মৃত্যুর খবর তার স্বজনদের কাছ থেকে জেনেছি। ছেলেটি মেধাবী এবং ভালো ছিল।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজার এলাকায় সাত তলা একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আশপাশের কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৬টি লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।

তিনি জানান, নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অন্তত ১২০ জনকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এখন লাশ হস্তান্তর করা হচ্ছে।