কোরবানির সময় গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা, আ.লীগ নেতার আত্মসমর্পণ

ফেনীতে চাঁদার জন্য শাহ জালাল (২৬) নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি ফেনী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ থেকে ১৪টি গরু নিয়ে শাহজালাল ২০২১ সালের ১৫ জুলাই ফেনী আসেন। রাত ৩টার দিকে তার গরুবোঝাই ট্রাক ফেনীর সাহেব বাজার অতিক্রম করার সময় স্থানীয় কাউন্সিলর ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (ভাগিনা কালাম) ট্রাকের পিছু নেন। ট্রাকটি ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ পার হয়ে সৈয়দ নগরের শাহ জালালের চাচাতো ভাইয়ের বাসার সামনে পৌঁছালে কালাম ও তার সহযোগীরা অস্ত্রের মুখে গরু ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে। তার চিৎকার শুনে ঘর থেকে তার চাচাতো ভাই আল আমিন বের হলে তাকেও মারধর করা হয়।

আল আমিনের স্ত্রী সুমি কাউন্সিলর কালামের পায়ে ধরে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিলেও শাহ জালালকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান। পরে পুলিশ সুলতানপুর এলাকার একটি পুকুর থেকে শাহ জালালের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আবুল কালামকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা হলে দীর্ঘ ২০ মাস তিনি পলাতক ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৫ জুলাই ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার একটি পুকুর থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাহ জালাল কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার সাগুলি গ্রামের আবদুল জাব্বারের ছেলে। তিনি প্রতি বছর ফেনীতে এনে কোরবানির পশু বিক্রি করতেন।