সেই রোহিঙ্গা রিমান্ডে, এনআইডি-জন্মনিবন্ধন করে দেওয়া কর্মকর্তাদের আসামি করার নির্দেশ

পরিচয় গোপন করে ভিন্ন নামে পাসপোর্ট করতে আসা মাতালম (২৭) নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্মনিবন্ধন করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিকে মামলায় সম্পৃক্ত করতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এবং দুনীতির বিষয়ে তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলম এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি কোর্ট ইন্সপেক্টর এ কে এম পেয়ার আহমদ।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমদাদুল হক জানান, রোহিঙ্গা যুবক মাতালম নিজেকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক এলাকার আবু সৈয়দ ও মৃত রহিমা খাতুনের সন্তান উল্লেখ করে গত ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসেন। এ সময় সে তার জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যান সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। একপর্যায়ে তার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিতে গেলে দেখা যায়, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা হিসেবে নিবন্ধিত।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা হিসেবে নিবন্ধিত হওয়া সত্ত্বেও ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬ এর ৩ ধারা লঙ্ঘন করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান না করে, তথ্য গোপন করে প্রতারণা করে জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাতালম সত্যতা স্বীকার করায় খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তাকর্মী আবু বক্কর ছিদ্দিক ১০ মার্চ খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রোহিঙ্গা যুবকের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।