এসএ গ্রুপের এমডি ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দেশের শীর্ষ ঋণ খেলাপিদের অন্যতম এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আলমকে এবার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ১১২ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে করা অগ্রণী ব্যাংকের মামলায় মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মো. মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন।

অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আলমকে আদালত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। অগ্রণী ব্যাংক চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ করপোরেট শাখা থেকে ১০ বছর আগে জামানতবিহীন নেওয়া ঋণের ১১২ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের পাসপোর্ট আগামী ২০ মার্চের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে ঋণ খেলাপির অভিযোগে মামলা করেছিল ব্যাংক। পরে মামলার রায়ে ঋণের টাকা পরিশোধের কথা বলা হলেও তারা করেনি। পরে ব্যাংক এ টাকা আদায়ে জারি মামলা করে।’

আদালত সূত্র জানায়, ঋণের টাকা আদায়ে আদালতে মামলার ১০ বছর পার হলেও তারা ঋণ পরিশোধ করছেন না। এমনকি ঋণের বিপরীতে তাদের কোনও স্থাবর সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ নেই। এই আদালতে বিচারাধীন বিভিন্ন মামলায় জামানতবিহীন ঋণ খেলাপিরা দেশত্যাগ করায় হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে এসএ গ্রুপের এমডি এম শাহাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রী ইয়াসমিন আলম যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশের কপি বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপির বরাবরে পাঠানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ২০ জন শীর্ষ ঋণ খেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রামের এসএ গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসএ অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের নামও রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের ঋণের স্থিতি এক হাজার ১৭২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭০৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে তার চার হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ খেলাপির অভিযোগে ১৫টির বেশি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।