সীমা অক্সিজেন কারখানার পরিচালকের জামিন 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ওই কারখানার পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সন্টুম জামিন পেয়েছেন।  

বুধবার (২২ মার্চ) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক জাকির হোসাইন মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে রবিবার (১৯ মার্চ) চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম জিহান সানজিদার আদালত জামিন আবেদনের অধিকতর শুনানির জন্য বুধবার (২২ মার্চ) দিন ধার্য করেছিলেন।

গত ১৪ মার্চ রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় থেকে পারভেজকে গ্রেফতার করে শিল্প পুলিশ। পরদিন তাকে কোমড়ে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করা হয়। কোমড়ে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় শিল্প পুলিশের এসআই অরুণ কান্তি বিশ্বাসকে ক্লোজড করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

আদালতে হাজির করে ওই দিন পারভেজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সুলাইমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলাটি শুরু থেকে তদন্ত করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। গত ১৩ মার্চ শিল্প পুলিশ এ মামলার তদন্তভার নেয়। মামলার তদন্তভার নেওয়ার পরদিন ১৪ মার্চ এ মামলার অন্যতম আসামি পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’

গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে সাত জন নিহত হন। আহত হন ৩০-৩৫ জন। এ ঘটনায় কারখানার শ্রমিক মো. কাদের মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম গত ৬ মার্চ রাতে ১৬ জনের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। মামলায় সীমা অক্সিজেন কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মামুন উদ্দিনকে প্রধান আসামি, কারখানার পরিচালক পারভেজ উদ্দিন সন্টুকে দুই নম্বর আসামি এবং অপর পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বাপ্পীকে তিন নম্বর আসামি করা হয়। বাকি ১৩ আসামি কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী, তারা দুর্ঘটনার সময় কর্মরত ছিলেন।

এদিকে, ঘটনার দিনই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক। সম্প্রতি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বিস্ফোরণের জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। কারখানা ব্যবস্থাপনায় তাদের ত্রুটি ছিল।