দোকানের ৩২টি মোবাইল চুরি করে ১২টি দিলো মায়ের কাছে

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে চুরি হওয়া ২২টি মোবাইল ফোনসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলী থানার নোয়াপাড়া এলাকার চেয়ারম্যান কলোনির সোলাইমানের ভাড়াঘর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ মীরসরাই পৌরসভার কলেজ রোড এলাকায় স্মার্ট টেলিকমের ৩২টি স্মার্ট মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। যার আনুমানিক মূল্য তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই ঘটনায় স্মার্ট টেলিকমের স্বত্বাধিকারী ১৫ মার্চ সকালে মীরসরাই থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেন, এজাহারনামীয় আসামি তাকবির হোসেন রিয়াদসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন দোকানের ভেন্টিলেটর ভেঙে প্রবেশ করে ৩২টি স্মার্ট মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।

মীরসরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার পর পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম শহরের সিএমপির পাহাড়তলী থানার নোয়াপাড়া চেয়ারম্যান কলোনির সোলাইমানের ভাড়াঘর থেকে শাহিনুর বেগমকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব হিঙ্গুলীর মকরম আলী ভূঁইয়া বাড়ীর শাহ আলমের স্ত্রী। এ সময় তার কাছ থেকে চুরি হওয়া ১২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতার শাহিনুর বেগমের তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলী থানার নোয়াপাড়া চেয়ারম্যান কলোনির সোলাইমানের ভাড়াঘর থেকে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার খোরশেদ মজুমদারের ছেলে রিয়াদ মজুমদারকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দোকানের চুরি হওয়া ছয়টি মোবাইল এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার তাজুল ইসলামের ছেলে নাজিম উদ্দিনকে (২০) দোকানের চুরি হওয়া চারটি মোবাইলসহ গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আসামি শাহিনুর বেগম বলেন, আমার ছেলে মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি তাকবির হোসেন রিয়াদ গত পাঁচ দিন আগে মীরসরাই পৌরসভা এলাকার থেকে মোবাইলগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। কয়েকটি মোবাইল বিক্রি করে ফেলেছে। চুরির ঘটনার সময় তার সঙ্গে গ্রেফতার আসামি রিয়াদ মজুমদার ও নাজিম উদ্দিনও ছিল। তারাও পৃথক পৃথক কয়েকটি মোবাইল বিক্রি করেছে।

মীরসরাই থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, গত ১৪ মার্চ রাতে মীরসরাই পৌরসভার কলেজ রোডে অবস্থিত স্মার্ট টেলিকমের ৩২টি স্মার্ট মোবাইল চুরি হয়। এই ঘটনায় দোকান মালিক আলাউদ্দিন সাদ্দাম বাদী হয়ে মীরসরাই থানায় একটি মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২২টি মোবাইলসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আসামিদের রিমান্ডে এনে বাকি মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।