বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ১ বছর, এখনও ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন সুলতান মাহমুদ

এখনও ক্ষত শুকায়নি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে এখনও যন্ত্রণা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছি। কথাগুলো বাংলা ট্রিবিউনকে বলছিলেন সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ। তিনি গেলো বছর ৪ জুন সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন। সাড়ে সাত মাস বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থ। সম্প্রতি তিনি আবারও কর্মস্থল সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগ দিয়েছেন।

সুলতান মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনা আমার জীবনের এক ট্র্যাজেডি। সেদিন (৪ জুন) খবর পেয়ে দ্রুত আমরা বিএম ডিপোতে আগুন নেভানোর জন্য ছুটে যাই। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। এরপর কী হয়েছে আমার আর কিছুই মনে নেই। পরে যখন জ্ঞান ফিরে দেখি চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) বেডে আমি শুয়ে আছি। ২৮ দিন সিএমএইচে চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হই। এরপর বাড়ি এবং অন্যান্য হাসপাতাল মিলে দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস নিয়মিত চিকিৎসাধীন ছিলাম। সেদিন আমি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও ভেঙে যায় আমার ডান হাত। শরীরে বুকে, পায়েসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছি। এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি হাত। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে যাচ্ছি। এরপরও বেঁচে আছি সেটার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’

তিনি বলেন, সেদিনের দুর্ঘটনায় আমার বাহিনীর ১৩ জনকে হারিয়েছি। ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ৮ জন এবং সীতাকুণ্ডের ফায়ার স্টেশনের ৫ জন রয়েছেন। তাদের ভুলতে পারছি না। হারিয়ে যাওয়া মুখগুলো সব সময় আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে।

সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি চিকিৎসা শেষে ১৯ জানুয়ারি কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে পুনরায় যোগদান করি।