একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য আলাদা ভিসানীতি সম্মানজনক নয়: হানিফ

একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য আলাদা ভিসানীতি সম্মানজনক নয় বলে মত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। তিনি বলেন, ‘কার স্বার্থে এবং কোন যুক্তিতে একটি স্বাধীন দেশকে অপমানিত করলেন তা বোধগম্য নয়। ভিসানীতির অন্তরালে যদি কোনও ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যায়, তবে বাংলার মানুষ সেই ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না।’

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খানম এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলহাজ আমিনুল ইসলাম আমিনসহ ইউনিয়ন, জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনে জনসমর্থন নেই। তারা বিদেশি প্রভুর সহায়তায় সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে এবং সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে।’ বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করারও আহ্বান জানান হানিফ।

তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকা গণতন্ত্রের সবক দেয়। মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু এই ধরনের কথা আমাদের শঙ্কা লাগে। কারণ তারা ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও মিশরেও একই ধরনের কথা বলে সরকার উৎখাত করেছে। সেসব দেশ আজ যুদ্ধবিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। তাই বাংলাদেশেও নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এসব কথা বলে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র হলে আমরা তা প্রতিহত করবো।’

সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালের মতো আবারও জ্বালাও পোড়াও, মানুষ মারার রাজনীতি শুরু করেছে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেই ক্ষমতায় বসতে চায়। ক্ষমতায় আসতে হলে আগে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। বর্তমান সরকারের তত্ত্বাবধানেই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।

সম্মেলন শুরুর পূর্বে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশ করেন স্থানীয় শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভার মূল পর্ব শুরু হয়। সভায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতবর।