কুষ্টিয়ায় বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হচ্ছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি। বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শহরের পিটিআই সড়কে তিনতলা বাড়িটি ভাঙা শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে নেতাকর্মীরা।
এর আগে গত ৪ আগস্ট ও ৫ আগস্ট এই বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চলেছিল লুটপাট। এ ঘটনার পর বাড়িটিতে ইট ছাড়া কিছুই ছিল না। তবে ৫ আগস্ট থেকে হানিফ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, তিনি ভারতে পালিয়ে আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি বুলডোজার নিয়ে প্রথমে বাড়ির প্রধান ফটক ও সীমানাপ্রাচীর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ছাত্ররা স্লোগান দিতে থাকেন ‘স্বৈরাচারের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’। এ সময় বাড়ির সামনে অনেকেই ভিড় করেন।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা মোড় থেকে একটি মশাল মিছিল নিয়ে হানিফের বাড়ির সামনে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে নেতাকর্মীরা। রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হানিফের বাড়িতে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের শহরের কদমতলা সাততলা বাড়ির দিকে যায় মিছিল। সেখানে রাত পৌনে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
অনেকে স্লোগানে বলতে দেখা যায়, কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় হানিফের চাচাতো ভাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাততলা ভাঙা বাড়িতেও বুলডোজার দিয়ে আবার ভাঙা হবে। সেজন্য এই বাড়িতেও বুলডোজার আনা হচ্ছে।