সাবেক পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

এক কোটি সাত লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলমের (৫৯) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী মো. এমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামি মো. শাহ আলম চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সর্বশেষ পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার নহল (মাস্টার বাড়ী) মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। বসবাস করেন চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ৭৩১ নম্বর ক্রাউন ভ্যালি ভবনে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মো. শাহ আলম ২০২২ সালের ২৩ মে দুদকে সম্পদবিবরণী জমা দেন। এতে নিজ নামে ৭১ লাখ ৫ হাজার ৬৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং এক কোটি ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৪ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট এক কোটি ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন এবং ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ঋণ থাকার কথা জানান। সম্পদবিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৭০ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং এক কোটি ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ১২৫ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট এক কোটি ৯৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

এতে আরও বলা হয়, শাহ আলম সম্পদবিবরণীতে নিজের নামে ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ঋণ থাকার কথা বললেও রেকর্ডপত্রে ৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ঋণের তথ্য পাওয়া যায়। তিনি ১৯৮৪ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত দীর্ঘ ৩১ বছর চাকরি করেন।

দুদক কর্মকর্তারা শাহ আলমের আয়ের উৎস বিবেচনা করে তিন কোটি দুই লাখ ২৭ হাজার ৬৫ টাকা তার অর্জিত সম্পদের তথ্য পান। এর মধ্যে এক কোটি ৯৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৪ টাকার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পায় দুদক। আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এক কোটি সাত লাখ ৪১ হাজার ৭২১ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনের তথ্য পায় দুদক।