নোয়াখালী সদর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী (১৬) ‘আত্মহত্যা’ করেছে। বিষপানের পর শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আনলে তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। ওই কিশোরী উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের কথা বলে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছাগলমারা পোল এলাকার আবদুল খালেক ভান্ডারির ছেলে মো. সুরাদ (২৩)। এতে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী।
কিশোরীর বাবা জানান, বিয়ের কথা বলে তার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে সুরাদ। এতে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে সুরাদকে বিয়ের কথা বললে মেয়েকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। ফলে লোকলজ্জায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে সুরাদের খোঁজে পৌরসভার ছাগলামারা পোল এলাকায় আসে কিশোরী। তার মোবাইলে থাকা সুরাদের একটি ছবি সেখানের দোকানিদের দেখিয়ে খোঁজ জানতে চায়। দোকানিরা বিষয়টি সুরাদের বাবা ও বড় ভাই কাউসারকে জানান। সুরাদের বাবা ও বড় ভাই এসে কিশোরীর সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে কৌশলে কিশোরীর মোবাইল কেড়ে নিয়ে সিমকার্ড ও মেমোরি ফেলে দেন কাউসার। পরদিন শুক্রবার আবারও ওই এলাকায় আসে ভুক্তভোগী। তখন সুরাদ ও তার বন্ধুরা তাকে দত্তেরহাট হাউজিং এলাকায় নিয়ে মারধর করে। সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে এসে বিষপান করে। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সুরাদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেনি। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের আগে কেউ জানায়নি। শনিবার দুপুরে খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’