কাশ্মীরে অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৩ বাংলাদেশির দুজন রাঙামাটি গণপূর্তের প্রকৌশলী

ভারতের কাশ্মীরে শ্রীনগর ডাল লেকে হাউজবোটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া তিন বাংলাদেশির মধ্যে দুজন রাঙামাটি গণপূর্তের কর্মকর্তা। এরমধ্যে একজন নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল। ৩০তম বিসিএসের এই্ ক্যাডার ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। ব্যক্তিজীবনে সরকারি এই কর্মকর্তা দুই সন্তানের জনক।

বাকি দুজনের মধ্যে একজন একই বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশগুপ্ত। ৩৩তম বিসিএসের কর্মকর্তা ইমন ব্যক্তিজীবনে তিন বছর বয়সী এক পুত্র সন্তানের জনক। দুর্ঘটনার শিকার অপরজন ঠিকাদার মাইনুদ্দিন।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে জানা গেছে, শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোরে সংঘটিত এই অগ্নিকাণ্ডে এই তিন বাংলাদেশিসহ মোট আট জন মারা গেছেন।

ডাল লেকে হাউজবোটে ভয়াবহ আগুন। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের শ্রীনগর পুলিশ নিহত তিন বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করে জানিয়েছে, লেকের ৯ নম্বর ঘাটে ‘সাফিনা’ নামে একটি হাউজবোটে অবস্থান করছিলেন নিহত তিন বাংলাদেশিসহ মোট আট জন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র ও হাউজবোটে নিবন্ধিত ডকুমেন্ট থেকে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগুনের কারণে পাঁচটি হাউজবোট ও আশপাশের সাতটি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে গরম করার কোনও যন্ত্র থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। নিহতদের মরদেহ হস্তান্তরের আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছে শ্রীনগর পুলিশ।

ক্ষতিগ্রস্ত হাউজবোট। ছবি: সংগৃহীত

তবে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত না করে একই বিভাগের রাঙামাটির উপ-সহকারী প্রকৌশলী জয় বড়ুয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। নানাভাবে খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। স্যার (অনিন্দ্য কৌশল) গত ৩ নভেম্বর ভারতে গেছেন। তার আজমীর শরীফ যাওয়ার কথা। সেখান থেকে কাজ শেষে কাশ্মীরে যাচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘটনা...। কিছুই বুঝতে পারছি না।’ একই ঘটনায় নিহত বাকি দুই জনকেও চেনেন বলে জানিয়েছেন জয়।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান এই প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী ভারতে আছেন, সেটা জানি। তিনি খুবই ভালো মানুষ। এমন ঘটনা শুনে খুব খারাপ লাগছে। আমি এখনই খোঁজখবর নিচ্ছি।’