কুমিল্লায় কমেছে পাসের হার, ফলাফলে এগিয়ে মেয়েরা

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যা গত দুই বছরের তুলনায় কম। ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে মেয়েরা। রবিবার (২৬ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তরের পর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে এই তথ্য জানা গেছে।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে অংশগ্রহণ করেছে এক লাখ ১০ হাজার ৫৮০ জন। সকল বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৭০ জন। যা মোট ফলাফলের ৭৫ দশমিক ৩৯শতাংশ। এবারের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ৬৫৫ জন। যা মোট ফলাফলের পাঁচ দশমিক ১১৪ শতাংশ।

২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৪হাজার ৯৯১ জন। এ ছাড়া ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৪৯শতাংশ। জিপিএ-৫ ছিল ১৪ হাজার ১৫৩ জন।

আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান

ফলাফলে এগিয়ে মেয়েরা

এ বছর ৪৬ হাজার ৯৪১ জন ছেলে ও ৬৩ হাজার ৬৩৯জন মেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭৭ জন ছেলে ও ৪৯ হাজার ১৯৩ জন মেয়ে পাস করেছে। এবং জিপি-৫ পেয়েছে দুই হাজার ১৩২ জন ছেলে ও তিন হাজার ৫২৩ জন মেয়েশিক্ষার্থী।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ বছর ছেলেদের পাসের হার কম হওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো করোনার কারণে অনেক ছেলেরা কাজে চলে গেছে। অনেকে প্রবাসে। আবার অনেকে শ্রেণিতে নিয়মিত নয়। তাই ছেলেরা ঝরে পড়েছে। এ ছাড়াও দুই বছরের তুলনায় এবারের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু জিনিস পেয়েছে। গত বছর আইসিটি বিষয় ছিল না। অনেক বিষয়ের পরীক্ষার সিলেবাস ছোট ছিল। তাই এবারের পরীক্ষায় বড় সিলেবাস হওয়াতে পরীক্ষার্থীরা অনেকে সেটা রপ্ত করতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বোর্ড মিটিং করেছি। কীভাবে ছেলের সংখ্যা বাড়ানো যায় এবং কীভাবে পাসের হার আরও বাড়ানো যায় তা দেখছি।’