মায়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ, কারণ ব্যাখ্যার নির্দেশ

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর আগে কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে হামলা এবং মারধরের অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা ও চাঁদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান।

নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির ওই স্মারকে উল্লেখ করা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন গত ৩০ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর থেকে একই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সমর্থক ও আশ্রয়কৃত সন্ত্রাসী বাহিনী নানাভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও মারধর করে শারীরিকভাবে আহত করে। এ ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট করে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে কলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোবহান সরকারের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী মোটরসাইকেলে মহড়া দেয় এবং প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন করবে তাদের চোখ তুলে ফেলবেন, ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবেন। হুমকির ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে প্রকাশ্যে হুমকির বিষয়টি সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। এতে করে বর্তমানে এলাকার মানুষজন আতঙ্কে জীবনযাপন করছে। এর ফলে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৭(গ) বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আপনার (মায়া চৌধুরী) কোনও বক্তব্য থাকলে তা আগামী ৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে বা উপযুক্ত কোনও প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।