আয় কমেছে মন্ত্রী তাজুলের

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের পাঁচ বছরে সম্পত্তি বেড়েছে আড়াই গুণ। তিনি কুমিল্লা-৯ (লাকসাম- মনোহরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে তার জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, মন্ত্রী তাজুল ইসলাম লাকসাম পৌরসভার পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জুলফিকার আলীর ছেলে। হলফনামায় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিএ উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালের হলফনামা বিশ্লেষণ দেখা গেছে, তার বাৎসরিক আয় উল্লেখ করা হয় চার কোটি ১৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৯৯ টাকা। এবারের হলফনামায় তার সবচেয়ে বেশি আয় ছিল বাড়ি, দোকান, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে এক কোটি ৬৯ লাখ ৯৩৯ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৭৭ টাকা।

এদিকে, ২০১৮ সালে জমা করা হলফনামায় তার আয় ছিল চার কোটি ৩৮ লাখ পাঁচ হাজার ২২১ টাকা। ওই বছর সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে দুই কোটি ৯৪ লাখ পাঁচ হাজার ৩৩১ টাকা। বাড়ি, দোকান, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে আয় করেছেন ২২ লাখ ৬৫ হাজার ১৩২ টাকা।

বর্তমান হলফনামায় তার অস্থাবর সম্পত্তি ৯৭ কোটি ১৩ লাখ তিন হাজার ৩৬৪ টাকা। যার মধ্যে আছে ৮০ কোটি টাকার বন্ড ও পাঁচ কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার ২৩০ টাকার শেয়ার। মন্ত্রীর নগদ টাকার পরিমাণ আট লাখ ৫২ হাজার ৭৭০ টাকা। স্থাবর সম্পত্তি ২১ কোটি ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৪ টাকার। যার ২০ কোটি চার লাখ ৭৫ হাজার ৬১২ টাকা মূল্যের আছে বাণিজ্যিক দালান, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, চা বাগান, রাবার বাগান, মৎস্য খামার ইত্যাদি। সবগুলোর দাম অর্জন করার সময়ের। কৃষি জমি আছে এক কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ৯২৫ টাকার। তার মোট সম্পত্তি ১১৮ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯২৮ টাকা।

২০১৮ সালের হলফনামায় উল্লেখ করেন, মন্ত্রীর তৎকালীন অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২৮ কোটি ৩৬ লাখ ৯২ হাজার ৯৩১ টাকার। ওই সময় বন্ড ছিল তিন কোটি ৮২ লাখ টাকার। শেয়ার ছিল ১৬ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৩০ টাকার। মন্ত্রীর পরিবহন ছিল এক কোটি ৮৯ লাখ চার হাজার ৩৪৪ টাকার। 

হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মন্ত্রীর পাঁচ বছরে আয় কমলেও সম্পদ বেড়েছে আড়াই গুণ।

উল্লেখ্য, মন্ত্রীর এবারের হলফনামায় চার কোটি ৯ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকার অগ্রিম বাড়ি ভাড়ার তথ্য লিখেছেন এবং মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই।