স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান মানিকের গণসংযোগে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের গণসংযোগে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের দিঘিরযান বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক তার সমর্থকদের নিয়ে নিয়মিত প্রচারণার অংশ হিসেবে বিকালে নাটেশ্বর ইউনিয়নের দিঘিরযান বাজারে আসেন। পরে নির্বাচনি গণসংযোগের বহরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান মানিকের ব্যবহৃত গাড়ি, বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা ঘটনাস্থলে জোড়ো হলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

মানিকের ব্যবহৃত গাড়ি, বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা

স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান মানিক বলেন, ‘নিয়মিত প্রচারণার অংশ হিসেবে গণসংযোগে বের হলে হেলমেট বাহিনী আমার ও কর্মী-সমর্থকদের গাড়িবহরে হামলা চালায়। নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে হেলমেট বাহিনী দিয়ে এভাবে পথসভায় হামলা চালিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। দিঘিরযান বাজারে যেভাবে আমার প্রচারণায় হামলা চালিয়েছে, যদি আমার লোকজন প্রতিহত করতো তাহলে সংঘাত হতো। যেভাবে তারা প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমি শঙ্কিত।’

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি জানামাত্রই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি। অপরাধী যারাই হোক, তদন্তে তা বের হয়ে আসবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’