শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমা চলাকালীন সময়ে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে ময়মনসিংহের ছায়াবাণী সিনেমা হলে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় একদল দর্শক। ঈদের দিন শনিবার (৭ জুন) বিকালে নগরীর সিকে ঘোষ রোড এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সিনেমা হলটি এ হামলার পর এক ঘণ্টা শো বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে পুনরায় ছবি চালু হয়।
শিক্ষা সংস্কৃতির নগরী ময়মনসিংহে অজন্তা, ছায়াবাণী, অলকা, পূরবী ও সেনা অডিটোরিয়াম এই পাঁচটি সিনেমা হল ছিল।
মানহীন সিনেমা, দর্শক খরা ও ২০০২ সালে সিনেমা হলে বোমা হামলা হলে একে একে বন্ধ হয় অজন্তা, অলকা, সেনা অডিটোরিয়াম। সবশেষ ৫-৬ মাস ধরে পূরবী সিনেমা হল ভাঙা হচ্ছে।
টিকে থাকা ছায়াবাণী হলেও বছরের দুই ঈদ ছাড়া তেমন দর্শক হয় না বললেই চলে। এবার ঈদুল আজহায় শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ ছবি দেখতে ঈদের দিন সকাল থেকেই দর্শকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
৭৫০ আসনসংখ্যার দোতলা হলটিতে শনিবার বিকালে শোয়ের শেষ সময়ে কারিগরি ত্রুটির কারণে সিনেমা বন্ধ হলে দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে হলের ভেতরে বাইরে ভাঙচুর করে। এতে বেশ কয়েকটি আসন, চেয়ার, পোস্টার, টিকিট কাউন্টারের দরজা জানালা ভাঙা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত শো বন্ধ থাকে।
কারিগরি ত্রুটির কারণে ভাঙচুরের পাশাপাশি হলে লুটপাট করা হয় বলে জানিয়েছেন সিনেমা হলের ক্যাশিয়ার আল-আমীন শেখ।
ভাঙচুরের পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুনরায় শো চালু হয়।
তিন নম্বর পুলিশ ফাঁড়ি এএসআই মো.রাসেল মিয়া বলেন, ছায়াবাণী সিনেমা হলে ভাঙচুর চলছে এমন খবর পেয়ে আমরা দ্রুত চলে আসি। এরপরই ক্ষুব্ধ দর্শকরা সিনেমা হল প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যায়। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানার তিনি।
একের পর এক বন্ধ হওয়া হলের মধ্যে টিকে ছায়াবাণীকে টিকিয়ে রাখতে সকলের সহযোগিতার কোনও বিকল্প নেই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।