বিএনপি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘২০১৮ সালে তারা (বিএনপি) নির্বাচনে এসে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তারা একেক জায়গায় তিন জন, চার জন করে প্রতিদ্বন্দ্বী দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। নির্বাচন আসলেই তারা মনোনয়ন বাণিজ্য শুরু করে দেয়। এটা মানুষ এখন বুঝে গেছে। যখন বাণিজ্য করতে পারে না, তখন তারা বলে আমরা নির্বাচন করবো না। গণতন্ত্রের যে ধারা সে ধারায় দেশ চলছে। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলে তারা এসব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করতে চায় না।’

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে তার নিজ নির্বাচনি এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া খেলার মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ২০০৮ সালে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। বিগত ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। কিন্তু নির্বাচনকে বানচাল করতে পারে নাই। এবারও পারবে না, ইনশাল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা স্বৈরতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তাদের নিজেদের দলের মধ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই। তারা বাসার মধ্যে মিটিং করে আজ তাকে সভাপতি বানায়। কালকে আরেকজনকে সভাপতি বানায়। আবার আরেক বাসায় গিয়ে মিটিং করে আরেকজনকে কো-চেয়ারম্যান বানায়। আরেকজনকে সেক্রেটারি বানায়। এই হচ্ছে তাদের নীতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি না বিশ্বাস করে দেশে। না বিশ্বাস করে গণতন্ত্রে। না বিশ্বাস করে নির্বাচনে। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে, আইনের শাসন আছে।’

আইন শাসন প্রশ্নে বিএনপি লাফালাফি করে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আজকে আইনের শাসনের কথা বললে বিএনপির তারা লাফালাফি করে বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। তাদের আমরা জেলে পুড়ে রেখেছি। আমরা বলতে চাই, বিনা অপরাধে তাদের কাউকে জেলে রাখা হয় নাই। বিগত ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছিল। যারা আওয়ামী লীগ করতো তাদের হত্যা করার ব্যবস্থা করেছিল। এমনকি হত্যাও করেছিল। আপনারা দেখেছেন ২০১৩-১৪ সালে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল। বাসে আগুন দিয়েছিল। মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তারা ২০২৩ সালে ট্রেনে আগুন দিয়ে তিন বছরের শিশুকে হত্যা করেছে; এই হচ্ছে বিএনপি। আগামী নির্বাচন এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। আমরা সন্ত্রাস মানি না। তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে, আমরা গণতন্ত্র চাই। তাদের বলে দিতে হবে, আমরা উন্নতি চাই। আমাদের বলতে হবে, আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি।’

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ কে এম আতাউর রহমান নাজিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুঁইয়া, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।