বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বর্জনের লিফলেট কেউ দেখে না: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামায়াতের লিফলেট কেউ দেখেও না, পড়েও না। বিএনপির নেতা, যারা লিফলেট বিতরণ করেন, তারা দশটি বিতরণ করে ছবি তুলে আবার গলির ভেতরে পালিয়ে যান। মানুষ ধাওয়া করবে এই ভয়ে। এরপর ছবিটা ফেসবুকে দেন। তাদের এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের নাকি এখন পেরেশানি রোগ হয়েছে। সেজন্য তারা ইন্ডিয়া ও ঢাকায় চিকিৎসা করতে গেছে। তাদের শারীরিক ও মানসিক দুটোই সমস্যা হয়েছে।’

সোমবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান চত্বরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আগে ভোট আসলে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা জনসাধারণকে বলতো, ভোট বুঝে শুনে দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ইসলাম চলে যাবে। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ইসরায়েল যেভাবে হত্যা করছে এখন তাদের মুখে কোনও শব্দ নেই। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে এই বর্বরতার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিদিন এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি। অথচ বিএনপি-জামায়াতের মুখ দিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটা শব্দও বের হয়নি। এখন তাদের চেহারা দেখাতেও লজ্জা হচ্ছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগে রাঙ্গুনিয়ার কী অবস্থা ছিল। এখন কী হয়েছে। তা আপনারা ১৫ বছর আগের কথা চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন। কর্ণফুলী নদীতে ব্লক বসানো না হলে চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারসহ অনেক এলাকা ভেঙে যেত। রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে গত ১৫ বছরে প্রায় পাঁচশ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে। আগে রাঙ্গুনিয়ার উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্তে যেতে সারা দিন লেগে যেত, এখন দেড় ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। সারা দেশে এই যে পরিবর্তন, একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে সম্ভব হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ২২ ধরনের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এসব ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে কে আওয়ামী লীগ কে বিএনপি সেটা কখনও দেখা হয় না। যিনিই পাওয়ার যোগ্য তাকেই দেওয়া হয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে কিন্তু যারা ধানের শীষে ভোট দিয়েছে, শুধু তাদেরই দিতো। আগেও সরকারের টিআর-কাবিখা প্রকল্প ছিল। তখন যারা এমপি ছিল, তারা সেগুলো রাঙ্গুনিয়ায় আনেননি। সেগুলো মদুনাঘাটের ব্রিজের আগেই ভাগবাটোয়ারা হয়ে যেতো।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমদের সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, মেয়র আলহাজ শাহজাহান সিকদার, ইফতেখার হোসেন বাবুল, ইদ্রিছ আজগর, আবু তাহের, হারুন সওদাগর, ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী, আবু মনছুর প্রমুখ।