নারীকে আটকে রেখে চাঁদাবাজি, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার কারাগারে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক নারীকে আটকে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) চাঁদপুরের বিচারিক আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলম এই আদেশ দেন।

গ্রেফতাররা হলেন- ফরিদগঞ্জের চর দুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মাস্টার ও একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সাত্তার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চর দুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের জনৈক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে চাঁদপুর জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করেন। মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো.শাহজাহান মাস্টার ও ইউপি সদস্য মো. আবদুস সাত্তারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।

মামলার বাদী আলমগীর হোসেন জানান, আমার স্ত্রীকে আটকে রেখে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ ১১ জন মিলে আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা নেয়। আমি কোনও উপায় না পেয়ে আদালতে চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করি। মামলায় পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার আদালত শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে আদালত ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মাস্টার ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সাত্তারের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক পুলক বড়ুয়া বলেন, আদালত থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে তদন্ত করি। মামলার বাদী আলমগীর হোসেনের স্ত্রীকে বেআইনিভাবে আটকে রেখে দুই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ করে। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।