সীমান্তে মর্টারশেলে বাংলাদেশি নিহত, বিজিবির প্রতিবাদ

ক্ষমতায় আসার তিন বছর পর মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। গত বছরের অক্টোবরে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরুর পর থেকে সামরিক টহলচৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা সরকার। সর্বশেষ ঘুমধুম সীমান্তে বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমারের ৯৫ জন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে, যাদের অনেকেই আহত।

চলমান সংঘাতে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে মিয়ানমার জান্তার মর্টারশেল বাংলাদেশের ভুখণ্ডের বসতবাড়িতে বিস্ফোরণে দুজন নিহত হয়।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঘুমধুমের জলপায়তলী সীমান্তের বাদশা মিয়ার স্ত্রী হুসনে আরা (৫০) ও তাদের বাড়িতে নিয়োগপ্রাপ্ত এক রোহিঙ্গা নাগরিক। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় মেলেনি।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই সঙ্গে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম।

সোমবার বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৯৫ জন সদস্যকে নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিজিবি সদর দফতর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে আমরা তাদের ফেরত পাঠাবো।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের কোনও নাগরিক বা রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকতে পারেনি। চলমান সংঘাতে নতুন করে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সতর্ক রয়েছে বিজিবি। একই সঙ্গে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করার কথা জানান এই কমান্ডার।