কয়দিন সেন্টমার্টিন ভ্রমণ না করলে তেমন ক্ষতি হবে না: বিজিবি মহাপরিচালক

মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। উভয় বাহিনীর ছোড়া গুলির কয়েকটি বাংলাদেশেও এসে পড়ছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে দেশটির সীমান্তরক্ষীরাও। এমন পরিস্থিতিতেও থেমে নেই টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল। পর্যটকবাহী অন্তত ৭-৯টি জাহাজ প্রতিদিন চলাচল করছে এই রুটে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সীমান্ত পরিস্থিতি দেখতে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এবং তৎসংলগ্ন বিওপি পরিদর্শন করেন।

পরে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি প্রধান টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটি কমনসেন্সের বিষয়। কয়দিন পর্যটকরা সেন্টমার্টিন ভ্রমণ না করলে তেমন ক্ষতি হবে না।

তিনি বলেন, আমরা জনগণকে আতঙ্কিত করতে চাই না। সীমান্তকে নিরাপদ রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। 

এদিকে বাংলাদেশ মিয়ানমার ২৭৩ কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত কি না এমন প্রশ্নে জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সীমান্তের কোনও অংশই অরক্ষিত নয়। বরং সীমান্তে বিজিবি সক্ষমতা বাড়িয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে।

বিজিবি প্রধান এক দিনের সফরে সকালে কক্সবাজার পৌঁছান। ৫ ফেব্রুয়ারি বিজিবির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার একদিন পর সীমান্তে মহাপরিচালকের এটি প্রথম সফর।