চিনিকলের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনী, তদন্তে কমিটি

সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে লাগা আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ১৫ ইউনিটের সঙ্গে আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনী। এরই মধ্য ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও কাজ করছে কোস্টগার্ডের ফায়ার ইউনিট।

এদিকে, আগুন লাগার কারণ জানতে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীর দল। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন আছে। আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কারণ জানতে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে। এতে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে এস আলম গ্রুপের সুগার মিলে আগুন লাগে। নিয়ন্ত্রণে আগ্রাবাদ, লামারবাজার, চন্দনপুরা, কালুরঘাট, কর্ণফুলী স্টেশনের ১৫টি ইউনিট যৌথভাবে কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বলেন, ‘রাত সাড়ে ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। পরে যোগ দেয় নৌবাহিনীর একটি দলও। রাত ৯টার দিকে যুক্ত হয় সেনাবাহিনীর একটি দল। সবাই যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।’