আগামীকাল দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সে উপলক্ষে আজ (রবিবার) শেষ দিনে চট্টগ্রামের পশুর হাটগুলোতে কোরবানির গরুর দাম কমেছে। নগরীর ১০টি এবং জেলার ১৫ উপজেলার প্রায় ২০০টি পশুর হাটে এবার পশু মিলেছে।
তবে এবার হাটগুলোতে আশানুরূপ পশু বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যাপারীরা। এ কারণে হতাশ পশু বিক্রেতারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার এককের চেয়ে শরিকে কোরবানিদাতা বেড়েছে। যে কারণে পশু বিক্রিও কমেছে।
জেলার রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী মো. আজিজ চৌধুরী বলেন, ‘পশুর হাটে আজ শেষ দিনে গরু, মহিষ ও ছাগলের দাম কিছুটা কমেছে। অর্থাৎ যে গরু দুই দিন আগে দেড় লাখ টাকার জন্য বিক্রেতারা দেয়নি আজ একই গরু এক লাখ ২৫ থেকে ৩০ হাজারের বেশি বিক্রি হচ্ছে না। বড় গরুতে ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।’
নগরীর মুরাদপুর এলাকায় অবস্থিত বিবির হাটে গিয়ে দেখা গেছে, এ হাটে যে পরিমাণ গরু, মহিষ ও ছাগল বিক্রির জন্য আছে সে পরিমাণ ক্রেতা নেই। গরু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ বিক্রেতারা।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা থেকে গরু বিক্রি করতে আসা ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি ১৫টি গরু বিক্রির জন্য এনেছি। ইতোমধ্যে ১০টি বিক্রি করা হয়েছে। এখনও ৫টি বিক্রি করতে পারিনি। বাজারে ক্রেতার তুলনায় গরু অনেক বেশি। এ কারণে কেনা দামও বলছেন না ক্রেতারা। গরু নিয়ে আমরা হতাশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৫টি গরুতে পশু রাখার খুঁটি বা খাইন ভাড়া দিতে হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। গাড়ি ভাড়া ৪০ হাজার টাকাসহ সে সঙ্গে আরও বিভিন্ন ধরনের খরচ রয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ব্যাপক লোকসানের মধ্যে আছি।’
রাউজান পাহাড়তলি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘আজ ৫৫ হাজার টাকায় রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন বাজার থেকে একটি গরু কিনেছি। এ গরুর স্বাভাবিক বাজারেও অন্তত ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। আজ শেষ দিনে গরুর দাম অনেক কমেছে।’
নুরনগর হাউজিং এস্টেট হাটের ইজারাদার সাইফুল আলম বলেন, ‘এবার এ হাটে আশানুরূপ পশু বিক্রি হয়নি। এবার কোরবানিদাতা কিছুটা কমেছে। পশুর দাম বেশি হওয়ার কারণে কোনও কোনও কোরবানিদাতা কয়েকজন মিলে শরিকে কোরবানি দিচ্ছেন। আজ শেষ দিনে হাটে পশুর দাম কিছুটা কমেছে।’