কোটা আন্দোলন ঘিরে চাঁদপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ মামলা, গ্রেফতার ৩৫

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চাঁদপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন উপজেলায় সাতটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় বুধবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক ইউসুফ মিজি, হাজীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মোশারফ হোসেন পরান ও হাজীগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ভুট্টো।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় চাঁদপুর সদরে দুটি, হাজীগঞ্জে চারটি, শাহরাস্তিতে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাগুলোতে এজাহারনামীয় শতাধিক আসামি ছাড়াও অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও যারা ঘটনায় জড়িত তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘হাজীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করেছে। এসব মামলায় আড়াইশ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, চাঁদপুর শহরে গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েক দফা পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই দিন রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবনে আগুন দেওয়া হয়। পরদিন হাজীগঞ্জের টোরাগড় ও এনায়েতপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশসহ অর্ধশত আহত হন।