সর্বোচ্চ বৃষ্টিতে ভিজলো নোয়াখালীর মাইজদী, জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘উদাসীনতা’

একদিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে নোয়াখালী শহরে। শহরের প্রধান সড়কসহ বেশির ভাগ সড়কই পানির নিচে। পানি ঢুকেছে বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নাগরিকেরা। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে এবং পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই শহরবাসীর দুর্ভোগ দেখা দেয়। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে ডুবেছে বিভিন্ন সরকারি অফিস। জলাবদ্ধতায় ডুবে আছে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নিচতলা। অফিস কক্ষে পানি ঢুকে যাওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম। ডুবে গেছে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনের বাসভবনের সড়ক। এ ছাড়া পানিতে ডুবে গেছে জেলা আবহাওয়া অফিস, জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়, জেলা জজ আদালত, জেলা মৎস্য অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি অফিস। এদিকে, জীবিকার তাগিদে বের হওয়া শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।

সামান্য বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় শহরের বাসিন্দাদের (ছবি: বাংলা ট্রিবিউন)

পৌর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, জলাবদ্ধতা নোয়াখালীবাসীর নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই! নোয়াখালী পৌরসভা ২০০ বছরের পুরোনো। এখনও সামান্য বৃষ্টিতে এখানকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিকদের যদি এ অবস্থা হয় তাহলে বাকিদের জানি কী অবস্থা!

অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসকের (ছবি: বাংলা ট্রিবিউন)

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ২৭৬ মিলিমিটার। এরপরে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীতে। সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২১৬ মিলিমিটার।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অতি দ্রুত পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর পানি চলাচলের খাল ও যে সকল নালা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে দখলদাররা সেসব উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।