চট্টগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় তিনটি উপজেলার ২০ হাজার ১৭৫টি পরিবারের ৯৫ হাজার ৯০০ জন লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় ১৩২টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং ২৯০টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, টানা বর্ষণে চট্টগ্রামের তিনটি উপজেলা- ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড ও মীরসরাই ভেসে গেছে। এ তিনটি উপজেলায় ৩১টি ইউনিয়ন পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ফটিকছড়িতে ১৩টি ইউনিয়নের ৩ হাজার ১৭৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৯০০ লোক। মীরসরাইয়ে ১২টি ইউনিয়নের ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে ৬০ হাজার লোক ক্ষগিগ্রস্ত হয়েছে। সীতাকুণ্ডের ৬টি ইউনিয়নে ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এতে ২০ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ফটিকছড়িতে ২০ হাজার টন, মীরসরাইয়ে ২০ হাজার টন এবং সীতাকুণ্ডে ১০ হাজার টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এ তিনটি উপজেলায় বন্যায় ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, মসজিদ-মন্দির, সড়ক, পুকুর এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। এতে উপজেলার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরি জানিয়েছেন, অতি বর্ষণের কারণে মহানগরসহ উপজেলা সমূহের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেখা দেয়ায় কিছু কিছু এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।