আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করলেন শিক্ষার্থীরা

২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ নামে নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে এর একাডেমিক ও অফিশিয়াল কার্যক্রম জেলার সদর উপজেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চালু করা হয়। পরে নিজস্ব ভবন নির্মাণ শেষে এর কার্যক্রম বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তার অদূরবর্তী এলাকায় স্থানান্তরিত করা হয়।

প্রতিষ্ঠাকালীন মেডিক্যাল কলেজটির নাম নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ থাকলেও পরে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও স্পিকার আবদুল মালেক উকিলের নামে কলেজটির নামকরণ করা হয়। যদিও তখন এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ নামে এর নামকরণ চেয়েছিলেন।

সবশেষ, গত ১৯ আগস্ট ক্যাম্পাস খোলার পর শিক্ষার্থীরা আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে নোয়াখালীর একমাত্র সরকারি মেডিক্যাল কলেজটির আগের নামকরণের দাবি জানান এবং নিজেরাই প্রধান ফটকে ‘আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ’ লেখা নামের ওপর ‘নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ’ নামে নতুন স্টিকার লাগান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম এখনও পুরোপুরিভাবে শুরু হয়নি। তাই আমরা নাম পরিবর্তনের বিষয়টি অফিশিয়ালি করতে পারিনি। তবে আনঅফিশিয়ালি নাম পরিবর্তন করে দিয়েছি। শিগগিরই অফিশিয়াল পরিবর্তন করে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। একটা প্রতিষ্ঠান পুরো জেলাকে ব্র্যান্ডিং করে নামকরণ হয়েছিল। আওয়ামী লীগের শাসনামলে অতি উৎসাহী কিছু মানুষ এর নাম পরিবর্তন করেছে। আমরা আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আগের নামে পেতে চাই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিক্যাল কলেজের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নাম পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে। তারা নিজেরাই প্রধান ফটকসহ সব জায়গায় নতুন করে আগের নাম লিখলেও আমাদের কাগজে-কলমে  আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ নামেই থাকছে। এটা সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিষয়। সরকার যদি নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় তবে আমরাও সে নামেই প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালাবো। তার আগে বর্তমান নামেই চালাতে হবে।’