বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের রূপকার খুনি শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। আমরা খবর পেয়েছি, কুমিল্লার পার্শ্ববর্তী সীমান্ত ত্রিপুরাতে ফ্যাসিবাদের দোসররা জমায়াতের অপচেষ্টা করছে। আমরা কুমিল্লা থেকে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিতে চাই, ফ্যাসিবাদের দালাল যারা রয়েছে- ছাত্রলীগ, যুবলীগ টোকাই লীগ বাংলাদেশের কোথাও পুনর্বাসনের অপচেষ্টাকে সফল হতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে কুমিল্লা থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় কুমিল্লা নগরীর কেন্দ্রস্থল টাউনহল মাঠে আয়োজিত সমাবেশ ও মশাল মিছিলের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার ব্যানারে সমাবেশ ও মিছিলটি আয়োজন করা হয়।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিগত সময় কুমিল্লার মানুষ খুনি বাহারের (কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক এমপি বাহাউদ্দিন বাহার) ত্রাসের রাজত্বে ছিলেন। ব্যবসায়ী, হাসপাতাল ও রাস্তার ফুডকার্টেও চাঁদা দিতে হয়েছে। বাহার গং কুমিল্লার মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমরা কুমিল্লাবাসী বাহারসহ ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থাকেই বিলুপ্ত করে দিয়েছি।’
সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সাকিব হোসেনসহ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা।
এর আগে শনিবার নোয়াখালীতে এক অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেছেন, ‘কুমিল্লার একটি স্থানে নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী অঞ্চলের আওয়ামী লীগ নেতারা একত্রিত হচ্ছেন সভা করার জন্য। ভারতের আগরতলায় তারা একটি সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই সমাবেশ থেকে তারা একটি প্রবাসী সরকারের ঘোষণা দিতে চায়, শেখ হাসিনা ওই সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখতে পারেন বলে আমাদের দেশের গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে।’
শনিবার সন্ধ্যায় ‘ভাষা সাহিত্য চর্চা একাডেমি’ নোয়াখালীর আয়োজনে ‘নজরুল সাহিত্যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা’ শীর্ষক আলোচনা এবং শহীদদের পরিবারের আর্থিক অনুদান ও দোয়া অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।