হালদায় ভেসে উঠলো ১৫ কেজি ওজনের মৃত ডলফিন

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদীর শাখা খাল থেকে ১৫ কেজি ওজনের একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া খালের মজিদাপাড়া থেকে খালে ভাসমান অবস্থায় ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়। বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন নদী গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান মনজুরুল কিবরিয়া।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া ডলফিনের দৈর্ঘ্য ৬০ ইঞ্চি, প্রস্থ ২৭ ইঞ্চি এবং ওজন ১৫ কেজি। ধারণা করছি, কর্ণফুলীর মোহনায় ডলফিনটি মারা যেতে পারে। জোয়ারে এটি ভেসে কূলে এসেছে।  মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান করে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পচন শুরু হওয়ায় এটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। হালদা থেকে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১২ কেজি ওজনের আরেকটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়।

রাউজান উপজেলা মৎস্য অধিদফতর জানিয়েছে, ডলফিনটি চার থেকে পাঁচ দিন আগে মারা গেছে। এ কারণে সামন্য পচন ধরেছে। তাই ময়নাতদন্ত না করে এটি মাটিচাপা দেওয়া হয়। মৎস্য অধিদফতরের ধারণা, নদীদূষণ কিংবা মাছ ধরতে নদীতে বিষ দেওয়ার কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে এটির।

হালদা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হালদার ডলফিন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত (অতিবিপন্ন প্রজাতি) জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী । বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে বিপন্ন প্রজাতির ডলফিন আছে এক হাজার ১০০টি। এর মধ্যে শুধু হালদাতেই ছিল ১৭০টি। গত ৭ বছর হালদায় ৪৮টি ডলফিন মারা যাওয়ার ঘটনাটি উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাউজান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নদীদূষণের কারণে এই ডলফিনের মৃত্যু হতে পারে। আমাদের প্রাথমিক সুরতহালে এ তথ্য উঠে এসেছে। এটিতে পচন ধরার ময়নাতদন্ত ছাড়া প্রাথমিক সুরতহাল করে নদী পাড়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।’