স্ত্রী-শ্যালিকাকে হত্যার পর উঠলেন আবাসিক হোটেলে, ধরলো পুলিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের বাকুলিয়ার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমিরের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামে। সোমবার ভোররাতে কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যার পর পালিয়ে যান আমির।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমির হোসেনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় এনে তাকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে।’

এর আগে সোমবার ভোরে গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যা করে পালিয়ে যান আমির। নিহত দুজন হলেন- ধজনগর গ্রামের মৃত রওশন আলীর মেয়ে জ্যোতি আক্তার (২০) ও তার বোন স্মৃতি আক্তার (১৪)। প্রায় দেড় বছর আগে জ্যোতি আক্তার ও আমির হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের কারণে বেশিরভাগ সময়ে জ্যোতি বাবার বাড়ি ধজনগর গ্রামে থাকতেন। 

গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ইউনুস পাঠান বলেন, সোমবার সকালে খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে বিছানায় দুই বোনের লাশ দেখতে পাই। তাদের শরীরে আঘাত না থাকায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজন বলছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল।

ওসি আব্দুল কাদের বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। স্মৃতির বাঁ পাশের চোয়ালের নিচে লাল জখম ছিল। জ্যোতিকে বালিশ চাপা দিয়ে ও স্মৃতিকে হাতে চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’